[ kobutor palon] কবুতর এর কিছু উপকারি ও প্রতিষেধক ঔষধ। Pigeon's some beneficial and antidote

Pigeon's some beneficial and antidote

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । kobutor.net এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।  আজকের আলোচনার বিষয়  কবুতর এর কিছু উপকারি ও প্রতিষেধক ঔষধ

তো চলুন শুরু করা যা।।   

কবুতর এর কিছু উপকারি ও প্রতিষেধক ঔষধ

কিছুদিন আগে কবুতর নিয়ে একটা চক্র নানা ধরনের অসাধু ও মনোপলি ব্যাবসা করছিল, মানুষ যখন একটু সচেতন হল। তখন আবার কবুতরের সেই চক্রটা আবার সক্রিয় হয়েছে নানা ধরনের ভুল চিকিৎসা, আর এটা করা হচ্ছে এই কারনে যাতে,খামারিরা এই চিকিৎসা করবে !!  কবুতর মরবে !! আর তাদের ব্যাবসা আবার চাঙ্গা হবে ?? !! আর এটাই যদি হয় তাহলে আমাদের জন্য এটা অশনি সংকেত। এটা আমাদের কে বুঝতে হবে। আজকাল যে যেমন পারছেন তেমন ভাবে চিকিৎসা দেবার চেষ্টা করছেন,  কেন ??? আমাকে একজন জানালেন যে তিনি মানুষের ক্রিমির ঔষধ দিচ্ছেন, জিজ্ঞাস করলাম কেন এটা করছেন? তিনি জানালেন যে, তিনি একজন বিশেষজ্ঞের কথা মত এটা করছেন। আসলেই কি তিনি বিশেষজ্ঞ নাকি বিশেষ ভাবে অজ্ঞ ? কবুতর কে মোটা করার জন্য কেউ কেউ আবার ইঞ্জেকশন দিচ্ছেন, কেউ আবার মোটা করার ভিটামিন ব্যাবহার করছেন। কিন্তু এটা সেই সব ব্যাবসায়িরা করছেন, যাদের কাছে কবুতর একটা পণ্য ছাড়া আর কিছু না। যাই হোক আল্লাহ্‌ তাদের সুবুদ্ধি দান করুন এই দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার নাই আমাদের এই মুহূর্তে। আর সব খামারিদের হাত জোর করে বলব একটু সাবধান হন। 


কবুতরের কিছু রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিকার নিয়ে একটু জেনে নেইঃ

কবুতরের পক্সঃ

পক্স এর মুল শত্রু হল মশা। যদি মশা প্রতিরোধ করতে না পারেন তাহলে যে শুধু পক্স হবে তাই না,ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর ইত্যাদির মত রোগও হতে পারে। তারপর অনেক সময় মশা নিয়ন্ত্রন সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে হোমিও Malandrinum 30 (Original Germany) ১ সিসি ১ লিটার পানিতে মিক্স করে মাসে ২/৩ দিন দিলে ভাল ফল হয়। তবে খেয়াল রাখবেন। আপনি যদি এই ঔষধ প্রয়োগের পর মশা নিয়ন্ত্রণ এর চেষ্টা না করেন তাহলে, আপনার অন্য চেষ্টাই  ব্যার্থ হয়ে যাবে।

কবুতরের দুর্বলঃ

ভ্রমন বা অসুস্থ/দুর্বলতা বা জাইগা পরিবর্তন বা কোন কারনে ভয় বা হার্ট দুর্বলতার হোমিও Kali Phos 30 (Original Germany) কুসুম কুসুম গরম পানির সাথে ১/২ বড়ি একজনের জন্য আর ২-৩ বড়ি ১ লিটার পানিতে ২-৩ দিন।

কবুতরের অরুচিঃ

অনেক সময় রোগ থেকে সুস্থ হবার পর বা বিভিন্ন কারণে, কবুতরের অরুচিও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে হোমিও Gentina Lutea 30 (Original Germany) ১ কবুতর কে ৩ ফোটা ২-৩ দিন দিনে ২ বার। আর গন ক্ষেত্রে ১ সিসি ১ লিটার  পানিতে। তবে খেয়াল রাখতে হবে। যে অনেক সময় ক্রিমি,বা লিভার এর সমস্যার কারনে অরুচি হয়। আর কবুতরের বেশিরভাগ রোগ দেখা যায় এই লিভার জনিত সমস্যার কারনে। হারবাল আমলকী বা আমলকীর রস পানির সাথে মিক্স করে দিলেও ভালো উপকার পাওয়া যায়।

কবুতরের রক্ত পরিস্কারঃ

অনেক সময় দীর্ঘ দিন যাবত ঘা শুকায় না বা পুঁজ জমে যায় ব আর কারনে রক্ত দুষিত হলে হোমিও Arsenic Alb 30 (Original Germany) ১ কবুতর কে ৩ ফোটা ২-৩ দিন দিনে ২ বার। আর গন ক্ষেত্রে ১ সিসি ১ লিটার পানিতে। তবে নিয়মিত ক্ষত পরিষ্কার করতে হবে যাতে সেরে যায়।

কবুতরের জ্বরঃ

সেপটিক জ্বর বা টায়ফয়েড ইত্যাদিতে হোমিও Achenacea Angu 30 (Original Germany) ২/৩ দিন দিনে ৩ বার ১-২ ফোটা করে দিবেন।

কবুতর ছানিঃ

একচোখে ঠাণ্ডা বা করিযা থেকে চোখে ছানি পরলে হোমিও Cunium 200 (Original Germany) ১-২ ফোটা করে দিনে ২ বার ৩-৪ দিন।

কবুতরের আঘাতঃ

কাটা, ছিড়া বা আঘাত জনিত কারনে জ্বর আসলে হোমিও Beledona 30 (Original Germany) ১-২ ফোটা করে দিনে ৪-৫ বার ২-৩ দিন।

কবুতরের ধনুষ্টংকারঃ

কাটা,ছেড়া বা ঠাণ্ডা জনিত কারণে, কবুতরের বাচ্চার নাভির সংক্রমণ বা ধনুষ্টংকার থেকে বাঁচাতে হোমিও Hypericum 200 30 (Original Germany) ১-২ ফোটা করে দিনে ৩ বার ২-৩ দিন।

কবুতরের ডিমের ভিতর বাচ্চা মারা যাওয়াঃ  

ভিটামিন K ডিমের ভিতর বাচ্চা মারা যাওয়া বা Coccidaiocis বা রক্ত আমাশয় ইত্যাদি প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

এছাড়াও লেবুর রস ক্ষত শুকাতে স্ট্রেস দূর করতে ও ঝিমানো ভাব দূর করতে সাহায্য করে। গ্রিট বা অন্য কোন কারনে ভিতরে রক্ত ক্ষরণের বা রক্ত বমি হলে। লাল চা+এলোভেরা মিক্স করে দিবেন রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে। (খেয়াল রাখবেন গ্রিট এ অনেকে ঝিনুকের বদলে সামুক ব্যাবহার করে থাকে যা খুবই বিপদজনক কারন এতে কবুতরের গলা ও পাকস্থলি কেটে যাবার ভয় থাকে। আর গ্রিট সব সময় রাখবেন না খাঁচায়। গ্রিট দেবার নিয়ম ১/২ দিন পর পর।তবে যে সব কবুতরের বাচ্চা আছে তাদের জন্য সব সময় রাখায় ভাল।

কিছু ঔষধ আছে যেগুলো ব্যাবহার না করাই ভাল এতে কবুতরের প্রজনন ও ডিম দিবার ক্ষমতা কমে যায়। যেমনঃ সিপ্রসিন,রেনাম্যসিন ইত্যাদি। একটা ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে হারবাল ও হোমিও সব সময় প্রাথমিক ও প্রতিরোধ মূলক চিকিৎসার জন্য অধিক ক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করাই ভাল। তবে সেটা মধ্যম সারির অ্যান্টিবায়টিক হতে হবে। আর এর সাথে স্যালাইন মিক্স করে দেওয়াটাই উত্তম এতে পানিশূন্যতা হবার ভয় থাকে কম। রোগের ক্ষেত্রে তরল খাবার দিবেন যেমনঃ গ্লূকোসের সাথে আটা গুলে দিতে পারেন বা সাবু বার্লি ইত্যাদি। অনেকে ব্রয়লার গ্রোয়ার ব্যাবহার করে, এটা ঠিক না…এতে কবুতরের হজমের সমস্যা হতে পারে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ