[কবুতরের রোগ] কবুতরের কৃমির লক্ষণ ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম।

[কবুতরের রোগ]  কবুতরের কৃমির লক্ষণ ঔষধ খাওয়ানোর নিয়ম।
কবুতর

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । kobutor.net এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে।  

কবুতরের কৃমির লক্ষণ ঔষধ খাওয়ানোর নিয়মঃ


ক্রিমির কিছু লক্ষন - 

অনেক দিন ধরে পাতলা পায়খানা, বেশি পানি পান করা, ডানা ঝুলে যাওয়া, ওজন কমে গিয়ে বুকের হাড্ডি বের হয়ে আসা, চুপচাপ বসে থাকা শুধু খাওয়ার সময়  উঠা, উতপাদন কম হয়া, ডিম না দেয়া, পায়াখানার সাথে ক্রিমি আসা বা পরা ।

১) কখন করাবেন কোর্সঃ


ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় , খালি পেটে করান ।
গরমের দিনে করালে খুব ভোরে বা অনেক রাতে যখন খাবার হজম হয়ে যায় , প্রয়োজনে অই দিন খাবার একটু আগে দেওয়া ভাল তাতে রাতে খাবার আগে হজম হবে ।
অবশ্যই সুস্থ কবুতরকে করাতে হবে ।
অথবা গরমের দিনে হাল্কা বৃষ্টি হচ্ছে এমন আবহাওয়ায় দেওয়া ভাল ।
একটানা ৩/৪ দিন বৃষ্টি হয় তখন না দেওয়া উচিৎ ।

২) দৈহিক ওজন অনুসারে ঔষধের পানির পরিমাপ নির্ণয়ঃ

কবুতরের আনুমানিক ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম হলে ১০ মিলি ।
দৈহিক ওজন ৩০০-৫০০/৭০০ গ্রাম হলে ১৫-২০ মিলি করে খাওয়ান ।

৩) কি কি ঔষধ দিতে বা খাওয়াতে পারিঃ


Elcaris vet (square ) 
Poulnex (Novartis ) 
Avinex ( Reneta )

৪) ঔষধ তৈরির নিয়মাবলি ও পরিমাপঃ


এভিনেক্স ১ লিটার পানিতে ২ গ্রাম ঔষধ মিশিয়ে অই পানি প্রতি কবুতরকে ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় খালি পেটে ১০ মিলি করে সিরিঞ্জ দিয়ে খাইয়ে দিন ।

দৈহিক ওজন ৩০০-৫০০ গ্রাম হলে ১৫-২০ মিলি করে খাওয়ান ।

৫) কৃমির ঔষধ খাওয়ানোর পদ্ধতিঃ


ঔষধ এর পানি দিয়ে রাখলে অনেক সময় অনেকে বেশি পানি খায় , অনেকে কম খায় , অনেকে খায়নাহ তাই ঝামেলা হয় ।
যেহেতু ৬০/৯০ দিন পর পর তাই একটু কষ্ট হলে ও ধরে সিরিঞ্জ দিয়ে খাওয়ানো ভাল ।

৬) কতক্ষন পর কি করতে হবেঃ


ঔষধ খাওয়ানোর   ৩ ঘণ্টা পর লিভার টনিক / লিভা ভিট বা লিভা টন বা হামদারদ এর ইকটার্ন দিনার ২ মিলি আর ইলেকট্রমিন স্যালাইন ২ গ্রাম করে ১ লিটার পানিতে মিক্স করে খেতে দিন । কৃমির ওষুধ দেওয়ার পর বমি করতে পারে । আল্লাহ্‌ ভরসা ভয় পাবেন নাহ । আর ওষুধ দেওয়ার ৫ ঘণ্টা পর খাবার দিন এর আগে না দেওয়া ভাল । আর অই দিন ৩/৫ ঘণ্টা পর কবুতরের খাঁচা , খাঁচার নিচের ময়লা , ট্রে পরিষ্কার করুন ।
আর লিভার টনিক ও স্যালাইন ওষুধ দেওয়ার দিন , আরও দুইদিন খাওয়ান ।

৭) এক কোর্স থেকে আরেক কোর্স এর মেয়াদঃ


৬০-৯০ দিনের মধ্যে একবার করে এই কোর্স করা ভাল ।

৮) কাদের জন্য নিশেধঃ


২/১ দিনে ডিম দিবে বা ২/৭ দিনের বাচ্চা আছে এমন কবুতর বা অসুস্থ কবুতর কে এই কোর্স করা যাবে নাহ ।

৯)যারা বাদ পরবে তাদের কি করবেনঃ


পরে তারা ডিম পাড়লে ৪/৫ দিন পর আর বাচ্চা ৮/১০ দিন বয়স হলে তাদের বাবা মা কে এবং অসুস্থ কবুতর সুস্থ হলে বা নতুন কবুতর কিণে আণলে কৃমির লক্ষণ থাকলে ,আলাদা করে ওষুধ খাইয়ে নিবেন ।

১০) কয়দিন দিবেন বা করাবেনঃ


৬০-৯০ দিনে ১ দিন ১ বার/ ১ বেলা দিবেন। কখনোই ২ দিন বা দুই বেলা দিবেন নাহ ।

বিঃদ্রঃ আজকে এই পর্যন্তই আমাদের ব্লকের সাথে থাকুন। আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে আমরা শুধু কবুতর নিয়েই আমাদের এই সাইট। কবুতর নিয়ে যা জানার, সব এখান থেকে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ