kobutor.net এর সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
তো চলুন শুরু করা যাক
শীতের সময় কবুতরের সমস্যা ও সমাধান
আমাদের দেশে অনেক পোশাক কারখানা আছে। যেতাকে আমরা গার্মেন্টস শিল্প হিসাবে ধরে থাকি। এই পোশাক শিল্পের কিছু কারখানা(factory) যারা কিনা বিশেষ ধরনের জ্যাকেট তরি করে থাকেন। সেই সব জ্যাকেট সাধারণত শীত প্রধান দেশেই রপ্তানি করা হয়ে থাকে। এই ধরনের জ্যাকেট গুলো বিশেষ ভাবে তরি করা হয়ে থাকে যা কিনা বরফের মধ্যেও প্রচণ্ড গরম থাকে শরীর, এমনকি মাঝে মাঝে ঘাম ছুটে যায়। কি ভাবে তৈরি সেই সব জ্যাকেট...? হা সেগুলো এক ধরনের হাসের পালক দিয়ে তৈরি করা হয়। আর এই কারনেই এ গুলো এমন গরম হয়। প্রকৃতিতে আমরা যে সব পাখী, হাস মুরগি ও কবুতর যায় দেখি না কেন, সেগুলো তাদের শরীর কে এই ধরনের তাদের নিজস্ব পালক দিয়েই রক্ষা করে। বিশেষ করে বলা যেতে পারে আমাদের দেশে ফ্যান্সি কবুতর গুলো এসেছে বাইরের শীত প্রধান দেশ থেকে, তাই আমাদের দেশের আবহাওয়া তাদের জন্য খুবই আরামদায়ক। যদিও বলে রাখা ভাল সব কবুতর না, কারন কিছু কবুতর আছে যাদের শীত ই বেশি প্রয়োজন পড়ে। এজন্যই হয়ত একটি কবুতরের শরীরের গড় তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট( ৯৮.৫ থেকে ১০৯.৪ ফারেনহাইট) অর্থাৎ ৩৭ থেকে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হৃদয় স্পন্দন স্বাভাবিক ১৮৫ বিপিএম(Beat per minute)। এজন্যই হয়ত অসুস্থ লোকদের কে বিশেষ করে জ্বরে আক্রান্ত রোগী দের কে কবুতরের গোস্ত খেতে নিষেধ করা হয়। কারন এতে সেই সব রুগী দের হিট স্ট্রোক বা অন্য সমস্যা হতে পারে।
কিন্তু প্রতিনিয়ত আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করা হয় যে, আমাদের দেশের অধিকাংশ খামারি শীত কে ভয় পান। যে শীত রোগ বালাই থেকে মুক্তি পাবার কথা...! সেই শীতে কেন এত রোগ বালাই হ? কারন একটাই আমারা স্রতের উল্টো দিকে সাঁতার কেটে অভস্থ। শীতের সময় বেশি রোগ বালাই হবার কারন খামার ব্যাবস্থাপনা, এই সময়ে দরজা জানালা বন্ধ রাখতে হবে...! খাঁচা ধেকে রাখতে হবে চট বা মতা কাপড় দিয়ে...! ১০০ ওয়াট এর ৪-৫ লাইট জালিয়ে রাখতে হবে...! রুম হিটার ব্যাবহার করতে হবে...! গরম পানি খাওয়াতে হবে...! ঠাণ্ডা পানি খাওয়ান যাবে না...! বেশি ভিটামিন দিয়া যাবে না চর্বি হয়ে জাবে...তাহলে ডিম বাচ্চা করবে না...! রোগ প্রতিরোধের জন্য নানা ধরনের অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ করতে হবে...! সবুজ পায়খানা হলেই ঔষধ দিতে হবে...ইত্যাদি। আর এই সব নানা ধরনের নিজ মন গড়া সমস্যা তৈরি আগেই করে রাখা হয়, ফলে গ্যাস জমে নানা অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ হয়। কিছু খামারে প্রবেশ করলে মানুষ পর্যন্ত ৫ মিনিতের বেশি থাকতে পারবে না সেখানে কবুতর গুলো কে ঘন্তার পর ঘণ্টা রাখা হয় এভাবেই...! তাই আগে খামারে বাতাস চলাচলের ব্যাবস্থা রাখতে হবে। শীতের মৌসুম মানেই রোগ বালাই বেশি এই ভুল ধারনা থেকে মুক্ত হতে হবে। আর কবুতর ঝিম ধরে বসে থাকা মানেই রোগ হয়েছে এই চিন্তা দূর করতে হবে।আপনি বছর বছর ধরে কবুতর পালেন এটা আপনার অভিজ্ঞতার বা ভাল খামারি বা বড় খামারির মাপকাথি হতে পারে না আপনি কত বড় বিবেচক আর আপনার common sense কতটা ভাল তার উপরই আপনি কত ভাল আর কত বড় অভিজ্ঞ খামারি সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
শীতের সময় কবুতরের যে ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায় তা নিন্মরুপঃ
লক্ষনঃ
- এই রোগের প্রথম লক্ষণ হিসাবে দেহে অতিরিক্ত তাপমাত্রা দেখা যায়। এ জন্য খাঁচার পাশে মাথা লাগিয়ে বসে থাকে চোখ বন্ধ করে। আর অনেকেই একে জ্বর বলে প্যারাসিটামোল বা এই জাতয় ঔষধ প্রয়োগ শুরু করে দেন। যা সঠিক কাজ না।
- বিষ্ঠা সবুজ+অফ হোয়াইট বা সবুজ+ হলুদ রং এর হতে পারে। প্রথম পর্যায়ে খাওয়া দাওয়া থক থাকে তাই অনেকেই ব্যাপারটা এড়িয়ে যান। কবুতর লোম ফুলিয়ে এক জাগায় বসে থাকে। লোমগুলো এলোমেলো হয়ে থাকে। আর সমস্যাটা শুরু হয় এখানেই...!
- নাক ও মুখ দিয়ে পানি পড়া বা শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। এ জন্য হা করে থাকে। থবা ঘর ঘর শব্দ করে। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখা প্রয়োজন যে অনেক কবুতর সাল্মনেল্লা বা অন্য কারনে বা দুর্বলতার কারনেও একটু লাফা লাফি করলেই হা করে শ্বাস নেয়। তার মানেই কিন্তু সেই কবুতর এই রোগে আক্রান্ত তা নয়।
- ধীরে ধীরে কাশি শুরু হয় কাশির ধরনটা খোক খোক বা ঘোঞ ঘোঞ এই ধরনের শব্দ হয়। এই রোগের পরবত্তি পর্যায়ে কাশির প্রভাব বেড়ে যায় তাই অনেকে ঘুংরি কাশি বলে যা সঠিক না । অনেক সময় কাশির সাথে রক্ত পড়তে পারে ও নাকেও রক্ত দেখা যেতে পারে। এসব লক্ষন কে অনেকে সাধারন ঠাণ্ডা বলে ভুল করে থাকে ও নানা ধরনের অ্যান্টিবায়টিক প্রয়োগ শুরু করেন বা ঠাণ্ডার ঔষধ যেমন: resperion,mucuspel vet, ESB, cosomix ইত্যাদি ব্যাবহার শুরু করেন। জেনে রাখুন আমাদের নিজেদের ঠাণ্ডার সময় কিন্তু আমরা নিজেরা কোনদিন, কোন প্রকার অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহার করি না! কিন্তু কবুতরের বেলাতে এই সাধারন জ্ঞান প্রয়োগে ভুল হয়।
- মুখে ও জিব্বায় সাদা জিল্লির মত দেখা যায়, মাঝে মাঝে লম্বা সুতার মত মুখের ভিতর দেখা যায়, তাই অনেকে কৃমি বলে মনে করে থাকে আবার অনেক সময় হলদেটে ভাব বা ঘা এর মত থাকে। মুখের সাদা পর্দা দেখা যায় এবং এটা তুললে কাচা ঘা দেখা যায়।খাবার গিলতে খুব কষ্ট হয় তাই খাবার মুখে নিয়ে ফেলে দেয়। যদিও অনেকে এই ঘা বা এর চামড়া তুলে দিতে বলে থাকেন। কিন্তু এটা খুবই মারাত্মক হয় ও ইনফেকশন/ সংক্রমণ হবার সম্ভাবনা থাকে। অনেকেই এটা কাংকার বলেও ভুল করে থাকে ও নানা ঔষধ প্রয়োগ করেন। মুখে দুর্গন্ধ থাকে এবং পাকস্থলি তে খাবার ও পানি থক থক করে হজম হতে চাই না। একটু চাপ পরলেই বা বমি করে পানি ও অভুক্ত খাবার সহ দুর্গন্ধ যুক্ত বমি নাক মুখ দিয়ে বের হয়ে আসে।
- পেশী দুর্বলতা ও চোখ সংক্রমণ হয়। ফলে চোখে ও নাকে পানি দেখা যায়। অনেক সময় গলা ফুলে টনসিল এর মত হয় কিন্তু টনসিল মত বিচি মত হয় না। অনেকে এটা টনসিল বলে ভুল করে থাকে।
- এই রোগে ৩-৪ দিনের মধ্যে কবুতর মারা যায়। তাই তাড়াতাড়ি চিকিৎসা দিতে হয়। এই রোগের ৩ টী স্তর রয়েছে। প্রথম ও তৃতীয় স্তরে রোগ বেশী ছড়ায়। এই রোগে কবুতরের হার্ট, কিডনি,যকৃত আক্রান্ত বেশী হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ সঠিক চিকিৎসা না দিলে অনেক ভূগতে হয়। আর রোগ ভালো হয়েছে বলে বা মনে করে চিকিৎসা বন্ধ করে দিলেও কবুতর মারা যায়। কারন এই রোগটা বার বার ফিরে আসে খামারে, এ জন্য ৪০ দিন একটু সতর্ক থাকতে হয়।
“Prevention is better then cure…!” তাই আমাদের আগে প্রতিরোধর ব্য্যবস্থা নিতে হবে।
কবুতরের এই সমস্যা গুলো কিভাবে প্রতিরোধ করবেনঃ
১) বাইরের কবুতর খামারে সরাসরি প্রবেশ করাবেন না কয়দিন পর্যবেক্ষণ না করে। বাইরের কবুতর ও পাখী যেন খামারে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন। কারন এই রোগটি বায়ু বাহিত ফলে আপনার নিজের অজান্তেই কখন যে আপনার খামারে প্রবেশ করবে টা আপনি টেরও পাবেন না। এটি ভাইরাল রোগ না। যদিও অনেকেই ভুল ধারনা পোষণ করেন।
২) নিয়মিত Vitamin A forte অথবা A-Vit-1 অথবা A-Vit-2 ১-২ টা ক্যাপসুল ১ লিটার পানিতে মিক্স করে মাসে ২-৩ দিন প্রয়োগ করা যেতে পারে। এটি মাল্টি ভিটামিন বা বি কমপ্লেক্স বা আমাইনো এসিড এর সাথে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
৩) অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ১ মিলি/সিসি/গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ১০ থেকে ১৫ দিন পর পর ব্যাবহারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, এমিউন সিস্টেম পরিস্কার থাকে। যারা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার সংগ্রহ করতে পারেন না তারা সাধারন ভিনেগার বা সিরকা ব্যাবহার করতে পারেন। [Apple cider vinegar(ACV) Heinz (Filtered) মুল্য-টাকাঃ২২০-টাকাঃ২৫০, ৪০০ মিলি বোতল, Bragg (Unfiltered) মুল্য-১৬০০ টাকা ১ লিটার বোতল।] Bragg এর(ACV) খুচরাও বিক্রয় করেন অনেক দোকানে সে ক্ষেত্রে আলাদা ভাবেও তা সংগ্রহ করতে পারেন।
সতর্কতাঃ অতিমাত্রায় বা ঘন ঘন অ্যাপেল সিডার ভিনেগার(ACV) ব্যাবহারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, এসিডিক ক্রিয়ার ফলে নাড়ি ও পরিপাকতন্ত্র পুরে যায় ফলে ঝিমুনি ভাব ও ক্ষুদামন্দা দেখা যায় বা খাবার হজম হতে যায় না ফলে এটি সতর্কতার সাথে ব্যাবহার করুন। নানা ধরনের amino acid অতিমাত্রায় ব্যাবহার থেকেও বিরত থাকুন। বিশেষ করে ঔষধের সাথে এর প্রয়োগ।
৪) লেবুর রস , লবন ও তাল মিশ্রী যোগ করে দিতে পারেন ২ চা চামচ লবন, ১ টি লেবু ও ১ চা চামচ পরিমান তাল মিশ্রী বা চিনি ১ লিটার পানিতে।
৫) প্রবায়টিক প্রয়োগ করতে পারেন ১ মিলি/সিসি/গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিক্স করে ব১৫ দিন পর পর বা মাসে একবার এবং অ্যান্টিবায়টিক ব্যাবহারের পর ২ দিন ব্যাবহার করা উচিৎ । প্রবায়টিক হিসাবে hamdard এর এলাকুলি গারডিজেন-এম{ করিয়ার তৈরি)একটা পাওয়া যায় সেটাও ব্যাবহার করতে পারেন।
৬) আলভিরা উপরের সবুজ খোশা বা আব্রন ছারিয়ে ভিতরের জেল ব্লেণ্ডারে জুস করে ১ লিটার পানিতে ১ টা পাতা ও পরিমান মত তাল মিশ্রীর সাথে মিক্স অথবা মধু মিক্স করে সাধারন খাবার পানি বা সরবত হিসাবে পরিবেশন করবেন।
৭) ভিটামিন বি কমপ্লেক্স হিসাবে (toxyni অথবা, biovit অথবা Rena B+C) ১ সিসি/গ্রাম= ১ লিটার পানিতে মিক্স করে সাধারন খাবার পানি হিসাবে পরিবেশন করবেন (একটানা)। ( এর সাথে যদি মনে করেন রেনা কে ভিটামিন তাও মিক্স করে ব্যাবহার করতে পারেন। ১০(দশ) লিটার পানিতে ১ গ্রাম রেনা কে এই অনুপাতে প্রয়োগ করতে চেষ্টা করবেন।) আপনি ২ দিন (toxynil) ও ২ দিন (biovit, Rena B+C)দিতে পারেন।
৮) রসুন বাঁটা +মধু।(১ লিটার পানিতে ২ চা চামচ রসুন বাটা,২ চা চামচ মধু মিক্স করে মাসে অন্তত একবার দিলে ভাল।তবে পানি ছেকে নিতে হবে। এই কোর্স টি অবশ্যই পালন করার চেষ্টা করবেন।
৯) কবুতর কে সপ্তাহে অথবা ১৫ দিনে অথবা কমপক্ষে মাসে অন্তত ১ দিন কিছু সময়ের জন্য উপবাস রাখা। এতে কবুতরের কর্প এ জমে থাকা সঞ্চিত খাদ্য হজম হয় ফলে বিভিন্ন রোগ থেকে বেচে থাকে।
১০) আপনার খামার পরিস্কার পরিছন্ন রাখারা চেষ্টা করবেন, আর এই লক্ষে আপনার খামারকে প্রতিদিন বা একদিন পরপর অন্তত ২-৩ দিন পর পর তাদের বিষ্ঠা বা মল পরিস্কার করা উচিৎ।
১১) পরিস্কার করার পাশাপাশি জীবাণু মুক্ত ঔষধ ছিটান উচিৎ। যেমন- VIROCID, FARM30, VIRCON S, HALAMID,OMNICIDE, TEMSEN ETC ১ লীটার পানিতে ১ গ্রাম মীক্স করে স্প্রে করা ভালো।
১২) খাবারে ফাঙ্গাস এর কারনে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে আগে আপনাকে সুষম খাবারের পাসাপাসি খাবার হালকা ভাবে গরম করা দরকার। গ্রিত এর ক্ষেত্রেও একই বাইরের সস্তা গ্রিট কিনলে সেটাকে গরম করে লবন মিক্স করে দিবেন।
১৩) ফুটান পানি, ফিল্টার পানি বা টিউব ওয়েল এর পানি ব্যাবহার করবেন। সাপ্লাই বা গভির নলকূপের পানি ব্যাবহার করবেন না। এতে আপনার সমস্থ পরিশ্রম পন্দ হয়ে যাবে। পানির ও খাবারের পাত্র নিয়মিত পরিস্কার রাখতে হবে। ।
১৪) ৪-৫ মাস পর পর খাঁচা গুলো কে কবুতর শুন্য করে পুরিয়ে নিন। কারন অএঙ্ক জীবাণু আছে যা স্প্রে তে মরে না।
এই ধরনের রোগে আপনি যত ধরনেরই ঔষধ ব্যাবহার করেন না কেন সেটি হয়ত আপনাকে বা আপনার কবুতরের সাময়িক রোগ উপশম দিবে কিন্তু পরবত্তিতে এটি আরও ব্যাপক আকারে আপনার সমস্থ খামারে ছড়িয়ে পড়বে। এই রোগে শুধুমাত্র penicillin, azithromycin অথবা erythromycin+ ঔষধই কাজ করে অন্য কোন ঔষধে কাজ হয় না। দ্বিতীয়ত ঔষধ প্রয়োগের ব্যাপারে অনেক খামারি একটু বেশি কৃপণ...তারা ১০ হাজার টাকা দিয়ে কবুতর কিনতে পারেন ১ হাজার টাকা দিয়ে খাঁচা কিনতে পারেন ১০০ টাকা দিয়ে ঔষধ কিনতে পারেন কিন্তু ১০ টাকা দিয়ে একটা আলাদা সিরিঞ্জ কিনতে পারেন না ...! তাই একই সিরিং দিয়ে পুরো খামারের কবুতর কে ঔষধ খাওয়ান হয় টাও আবার পাইপ/নল না লাগিয়েই শুধু মাত্র মুখে ঢেলে দিয়ে দিয়ে তাদের দায়িত্ব সমাপন করে থাকেন। আর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঔষধে কাজ না হলে অন্য ঔষধ প্রয়োগ করেন। তাই মাঝে মাঝে মনে হয় যে, কবুতরের চিকিৎসার আগে কবুতর খামারিদের আগে চিকিৎসা করা উচিৎ। যায় হোক, মনে রাখবেন এই রোগ টা অন্য রোগের বিপরিত...এই রোগের জীবাণু অক্সিজেন এ মারা যায় ও কার্বন ডাই অক্সাইড এ বাড়ে...তাই এটিকে রোদে না দিয়ে ঠাণ্ডা জায়গা তে রাখার ব্যাবস্থা করতে হবে। সাথে পানি শূন্যতা দূর করতে হবে। আর আপনি যদি সঠিক ভাবে খামার ব্যাবস্থাপনা মানেন, তাহলেই কেবল আপনি আপনার লক্ষে পৌছুতে পারবেন। না হলে কবুতর পালন আপনার স্বপ্ন হয়েই রয়ে যাবে। পরিশেষে, রাসুলুল্লাহ(সাঃ) এর উদ্ধৃতি দিয়ে পবিত্র কোরআন এ আছে, ”“আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না।“(সূরা আরাফঃ আয়াত-১৮৮)
বিঃদ্রঃ আজকে এই পর্যন্তই আমাদের ব্লকের সাথে থাকুন। আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে আমরা শুধু কবুতর নিয়েই আমাদের এই সাইট। কবুতর নিয়ে যা জানার, সব এখান থেকে জানতে পারবেন। ধন্যবাদ
আমাদের আরো কিছু পোস্টঃঃ
0 মন্তব্যসমূহ